শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র হতে আগ্রহী আতিকুল ইসলামের ব্যানার আগেই লেগেছিল, তফসিল ঘোষণার পর গণসংযোগেও নেমে পড়েছেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বৃহস্পতিবার বাড্ডা এলাকায় ডিএনসিসির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আতিকুল; তার সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েই মাঠে নেমেছেন তিনি।
“তিনি আমাকে বলেছেন, ‘তুমি তোমার পরিচিতি বাড়াও। জনগণ, নেতৃবৃন্দ, দলমত নির্বিশেষে সবার সঙ্গে পরিচিত হও’।”
আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের দিন রেখে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার চালানো যায় না।
আতিক দাবি করেছেন, তার এই গণসংযোগ নির্বাচনী প্রচার নয়।
“আমি কিন্তু পোস্টারিং করে বা বিশাল মিছিল নিয়ে পরিচিত হতে আসিনি। তা করলে অনেক অনেক লোক ছিল। সেটা না করে আমি অত্র এলাকার নেতৃবৃন্দ যারা আছেন আমি সবার সঙ্গে উঠান বৈঠক করছি। নির্বাচন কমিশন যদি বলে থাকে যে এ ধরনের প্রচারও করা যাবে না, অবশ্যই আমি সে আইনকে শ্রদ্ধা করব।”
ঢাকাকে একটা ‘বৈঠকখানা আর উঠান’ হিসেবে দেখেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিক। মেয়র হলে ‘বৈঠকখানা এবং উঠান’ সুন্দর এবং নিরাপদ করতে কাজ করবেন তিনি।
“আমাদের উঠান হবে সবুজ, সেখানে থাকতে হবে সব ধরনের খেলাধুলার সুবিধা। শিশুরা যেন নিশ্চিন্তে, নির্বিঘ্নে আসতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে আমি মনে করি। এই উঠানটা যেন দেখতে খুব ভালো লাগে, কোনো জলাবদ্ধতা যেন না থাকে। রাস্তাঘাটগুলো যেন পরিচ্ছন্ন হয়।”
যানজট নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এনে ঢাকাকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দিলেন আতিক।
সবগুলো সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করলে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা কঠিন নয় বলেও মনে করেন তিনি।
“আমাদের এখানে ৫৭টা সংগঠন আছে। এসব সংস্থাকে একটি ছাতার আওতায় আনতে হবে। এইটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমি বলছি বি টুগেদার। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”